মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১ ০৬:২২ এএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনীতিকে আরও সংহত করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ‘প্রাপ্ত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উভয় দেশ বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক ভ্যালু-চেইন আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, উভয় দেশ বিদ্যমান সহযোগিতামূলক ঐক্যমতের সুযোগ নিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে আরও সংহত করে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক ভ্যালু-চেইন আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-ভারত ভার্চুয়াল সামিটের উদ্বোধনী ভাষণে একথা বলেন।
প্রতিবেশী দেশদু’টির মধ্যে প্রচলিত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এই বিষয়ে অনুঘটক হিসাবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বড় উদাহরণ হল চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল
যোগাযোগ পুনরায় চালু করা যা আমরা আজ উদ্বোধন করব।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে গণভবন থেকে
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লী থেকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।
‘বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক নির্ভরতা আমরা আনন্দের
সঙ্গে স্বীকৃতি দেই,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু সংখ্যক ভারতীয়
নাগরিক বাংলাদেশের উৎপাদন ও সেবাখাতে নিযুক্ত রয়েছেন এবং তাঁরা নিজ দেশ
ভারতে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক
পর্যটক এবং চিকিৎসা সেবা গ্রহণকারীকে ভারত গ্রহণ করে।
‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত অতিক্রম করছে,’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এবং ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠারও ৫০তম বছরে পা রেখেছে।’
তিনি এ সম্পর্কে আরো বলেন, ‘আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উৎযাপন করছি। মাত্র কয়েক মাস আগে, আপনাদের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী আমরা উদযাপন শেষ করেছি।’
‘বাংলাদেশে আমরা বাপুজির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে একটি বিশেষ ডাক টিকিট অবমুক্ত করেছি। আমরা আজ বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ভারতের ডাক বিভাগের একটি স্ট্যাম্পের উদ্বোধন করবো,’ বলেন তিনি।
এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলো যৌথভাবে উদযাপনের জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে একত্রিত হওয়ায় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার এবং জনগণের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মানুষ আনন্দ, মুক্তি এবং উদযাপনের চেতনায় উদ্বেলিত হয়ে উঠে।’
তিনি এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শহিদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং আন্তরিক সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ভারত সরকার ও জনগণকে জানাই কৃতজ্ঞতা।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিনটিকে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করেন।অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত আলোচিত পি কে হালদারের মালিকানাধীন চারটি প্রতিষ্ঠানের... বিস্তারিত
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উত্তরণ এবং বাংলাদেশের অভিবাসন খাতের উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সব প্রত... বিস্তারিত
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানো হয়েছে এক মাস। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বছরের আয়কর রিটার্ন জমা ... বিস্তারিত
প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫ প্রকৌশলীসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দম... বিস্তারিত
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভিযাত্রায় অংশীদারিত্ব জোরদারে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহ... বিস্তারিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে আর্তমানবতার সেবায় জনগণ এবং সরকারের সহযোগী হিসে... বিস্তারিত
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নিজের সিনেট আসন থেকে পদত্যাগ ক... বিস্তারিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়া জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের আর মাত্র দু’দিন বাকী। বুধবার দ... বিস্তারিত
মিরসরাইতে বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের ক... বিস্তারিত
বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট মফিজুর রহমান প্রকাশ চানমানিক এর ১৮ তম মৃত... বিস্তারিত