শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:৩৬ এএম
ক্যাসিনো খালেদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকলেও তার ভয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না ছাত্রলীগের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা সোহেল শাহরিয়ার। তবে এক সময়ের ত্যাগী ছাত্রনেতা হওযায় ঢাকাসহ তার নিজ এলাকার নেতাকর্মীরা এবার তাকে দেশে ফিরে যাওয়ার আহবান জানান। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোহেল শাহরিয়ার সমর্থিত নেতাকর্মীরা তাকে দেশে স্বাগতম জানিয়ে লেখালেখিও করছেন। এসব নেতাকর্মীরা উম্মুখ হয়ে আছেন কখন ফিরে আসবে তাদের প্রিয় সোহেল শাহরিয়ার। শাহজাহানপুরসহ ঢাকায় সুস্থ রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে সোহেল শাহরিয়ারের মত ত্যাগী নেতাদের দরকার বলেও অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেন।
সূত্রে জানা
গেছে, সোহেল শাহরিয়ার শৈশব থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। তার জন্ম রাজধানীর শাজাহানপুরে। ৯ম-১০ম শ্রেণিতে পড়ালেখা অবস্থাই তিনি শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদে কাজ করেন। তখন এই সংগঠনের ঢাকা মহানগরের দায়িত্ব পালন করে সোয়েব খান ও শারমিন সুলতানা সালমা। ১৯৯৭ সালে সোহেল শাহরিয়ারকে রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এরপর ২০০২ সালে ভোটে বৃহত্তর মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
সূত্রে আরও জানা যায়, তখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকায় সরকারি দল বিএনপির হাতে অনেক অত্যাচর ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। রাজনীতির কারণে কারাবন্দী হয়েছেন কয়েক বার তিনি। শুধু তাই নয় ১/১১ এর সময়ও নেত্রীর মুক্তি আন্দোলন করেও জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার পরও সোহেল শাহরিয়ার অত্যাচার নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি। আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী খালেদের অত্যাচার শুরু হয় তার উপরে। শুধু তাই নয় মতিঝিল, শাহজাহানপুর, রামপুরা, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মুগদা এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একক আধিপত্য বিস্তার করতে ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে খালেদ। খালেদ একপর্যায়ে সোহেল শাহরিয়ারকে দেশে থাকলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিলে ২০১১ সালে স্ত্রীসহ কানাডায় গিয়ে আশ্রয় নেন সোহেল শাহরিয়ার।
২০০৮ সালের ৪ মার্চ রাজধানীর শাহজাহানপুরে দিনে-দুপুরে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাউসার আলীকে। কাউসার হত্যায় লেংড়া খালেদের নাম থাকলেও। পরে কৌশলে তার নাম কাটিয়ে নেয় লেংড়া খালেদ। ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে কানাডার নাগরিকত্ব লাভ করে সোহেল শাহরিয়ার দেশে আসতে চাইলে ২০১৬ সালে কাউসার আলী হত্যার চার্জসিটে সোহেল শাহরিয়ার নাম জড়িয়ে দেয় খালেদ। সোহেল তখন স্ত্রীসহ কানাডায় অবস্থান করছিলেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, কাউসার হত্যার সময় সোহেল শাহরিয়ার আওয়ামী লীগের নেতা সাবের হোসেন চৌধুরী সঙ্গে রাজনৈতিক প্রোগ্রামে ছিলেন। ২০১১ সালে মোহাম্মদপুরে ঢাকা মহানগর উত্তরে সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন বাবু ওরফে লীগ বাবু খুন হন। ঐ খুনের সঙ্গে খালেদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
যেভাবে খালেদের উত্থান:
যুবলীগ নেতা খালেদের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি শান্তিনগরের হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেছেন। ঐ সময় কলেজে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে পুলিশের সঙ্গে তার সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের গুলিতে তার একটি পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই থেকেই তাকে ল্যাংড়া খালেদ নামে অনেকে চেনে।
১৯৮৭ সালে ফ্রিডম মানিক ও ফ্রিডম রাসুর নেতৃত্বে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা হয়। এ দুই নেতার হাত ধরেই খালেদের উত্থান। ২০০২ সালে বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাসের ভাই মির্জা খোকনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন খালেদ।
দুবাইয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। দুবাই ও সিঙ্গাপুরে জিসানের সঙ্গে যুবলীগ দক্ষিণের একজন শীর্ষ নেতাসহ খালেদকে চলাফেরা করতেও দেখেছে অনেকে। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিঙ্গাপুরে হোটেল মেরিনা বে’তে জিসান, খালেদ ও যুবলীগের ওই শীর্ষ নেতার মধ্যে ক্যাসিনো এবং ঢাকার বিভিন্ন চাঁদার ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে জিসান তাদের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ নিয়েই খালেদ ও যুবলীগের ঐ শীর্ষ নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে যুবলীগের ওই শীর্ষ নেতাকে সরিয়ে দিতে একে-২২ রাইফেলসহ ভারী আগ্নেয়াস্ত্রও আনেন খালেদ। এসব অস্ত্র পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ উদ্ধার করে। এখনও ল্যাংড়া খালেদের বাহিনীর আতঙ্কে দেশে ফিরতে পারছে না সোহেল শাহরিয়ার।
আশির দশক থেকে প্রাণঘাতী এইচআইভিকে সঙ্গী করে বসবাস করে আসা এক রোগীর শরীর থেকে এই ভাইরাস নির্মূল হয়ে... বিস্তারিত
মহাকাশে নাসার পাঠানো জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এবার ভিনগ্রহে পানির সন্ধান পেয়েছে। শুক্রবার এক বিবৃতিত... বিস্তারিত
কাস্পিয়ান সাগর থেকে বেশ কিছুটা ওপরে বাতাসে সাদা কিছু একটাকে ভাসতে দেখা গেছে। এমনই অদ্ভুত একটি বিষ... বিস্তারিত
প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাকপণ্যের ব্যবহার বাড়বে, সরকারের স্বাস... বিস্তারিত
সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও চার দিন বেড়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ২২ ম... বিস্তারিত
পৃথিবীতে অনেক সৌভাগ্যবান মানুষ আছেন, যাঁদের কোনো দিন কোনো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু এ অ... বিস্তারিত
ইউক্রেনে ব্যর্থতার চক্রে আটকে আছে রাশিয়া। পশ্চিমা সামরিক সহায়তায় পুষ্ট ইউক্রেনের পাল্টা হামলার ... বিস্তারিত
৩২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নির্মাণ ব্যয় ও গ্যাসের মূল্য ব... বিস্তারিত
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা, মহাকাশ অভিযান সম্পর্কিত যন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠ... বিস্তারিত
তাপপ্রবাহ ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি জনিত অসুস্থতায় ৬৫ বছর ও তার চেয়েও অধিক বয়সীদের মৃত্যুহার বিগত বিভিন... বিস্তারিত