শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৩৮ এএম
পেঁয়াজটা একটু কেটে দাও, আমি রান্না করব। কাজ তো নেই, বউয়ের পেঁয়াজ কাটার আবদারটা না রাখার বায়নাও ধরতে পারলো না চান্দু।
বাহিরে যার রাজত্ব, সে এখন গৃহবন্দি। গৃহকত্রীর এখন বসন্ত সুখ। সকালে বের হওয়া গৃতকর্তা ফিরতো রাত অবধি কাজ করে। সপ্তাহে একটা দিন হয়তো বাসায় থাকা হতো গৃহকর্তার। এখন তো থাকা হয় দিনের পর দিন।
যান্ত্রিক জীবনে আমরা পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষ কত কাছে থেকে অনেক দুরে ছিলাম। আটারোর্ধ ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনা বা বাইরে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে থাকতো। ঘরে থাকলে ব্যস্ত থাকা হতো সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম নিয়ে। মা-বাবার সাথে বসে সময় কাটানো সময় ছিল না তাদের।
গৃহবধু গৃহ সামলানোর কাজে, ছেলে মেয়েরা যে যার মতো ব্যস্ত। পারিবারিক বন্ধন ছিল লোকিকতায় মাত্র। সবাই যেন পাগলা ঘোড়া। শুধুই ছুটে চলা। একা একা বাসায় থাকতে থাকতে গৃহবধুর মন খারাপ থাকতো প্রায়শয়। এখন তার ঘরে বসন্ত। গৃতকর্তা বাসায়, ছেলে মেয়েদের হাতে অফুরন্ত সময়। তার চোখের সামনে সবাই। যেন পাগলা ঘোড়া থেমেছে।
হয়তো এমন হবে তার অতিকাঙ্খিত সবাইকে কাছে পাওয়ার ইচ্ছেটা কয়দিন পর বিরক্তিতে পরিণত হবে। মানুষ এমন, যা পায় না, তার প্রতি আগ্রহ বেশি। পাওয়ার পর মাঝে মাঝে বিরক্তিবোধ করে। যদিও পরিবারের ক্ষেত্রে তা ব্যতিক্রম হয়। এ বন্ধন যেন ইস্পাত কঠিন। তাই হোক। এ কঠিন সময়ে গৃহবধুর গৃহে যেন বসন্তই থাকে। এবার আসা যাক মূল বিষয়ে।
গৃহবধুর ইচ্ছে পূরণ করার জন্য বাহিরে মৃত্যুধূত কেন? এ মৃত্যুধুত তো গৃহবধু চায়নি। কেউ চায়নি আমরা। এ ধরণীর বুকে আমাদের অবাধ বিচরণ চাই আমরা। তবে কি অবাধ বিচরণ করতে করতে গত একশ বছরে আমরা পৃথিবীকে অসুস্থ করে তুলেছি? তাই পৃথিবীর কি সুস্থতা দরকার? প্রকৃতির কি খুব বেশি ক্লান্তি ছিল? কয়েকদিন ধরে এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল আমার মনের মাঝে।
সড়কে নেই যান-যন্ত্রণা, আকাশে নেই বিমান-যন্ত্রণা, পানিতে নেই জাহাজ গমনাগমন। সবপথ এখন দারুণ বিশ্রামে, আরামে। মানুষ যখন জানালায় উঁকি দিয়ে বাহিরে থাকায় যেন প্রকৃতি হাসছে। আকাশে কালো মেঘ নেই, বাতাসে দুর্গন্ধ নেই, সাগর, নদীর পানিতে এসেছে সচ্ছতা। এ যেন নতুন করে প্রাণ পেল প্রকৃতি। আমরা শুনতে পাচ্ছি না তাদের হাসি, শুধুই অনুভব করতে পারছি। তবে কি বিধাতা কোন কোন উছিলায় শতাব্দি পর পর প্রকৃতিকে কিছু দিন বিশ্রামে দেয়। যা আমরা বুঝি না।
না, আমাদের বুঝা উচিত। আমাদের পঞ্চাশ একশ বছর পর পর আমরায় প্রকৃতিকে মুক্তি দিব। আমরা নিজেরায় স্বেচ্ছায় পনের দিন এক মাস, দুই মাস, পঞ্চাশ, শত বছর পর গৃহবধুর ইচ্ছে পূরণ করবো। সেচ্ছায় নিজ গৃহে থাকবো। প্রকৃতিকে একটু নিস্তার দিবো। হয়তো তখন প্রকৃতি মৃত্যুদূত নিয়ে হাজির হবে না।
চাই না, এমন মৃত্যু। শত বছর না, হাজার বছর পরও এমন মৃত্যু কাম্য না। যে মৃত্যুতে স্বজনরা পাশে থাকতে পারে না। যে মৃত্যুতে সযত্নে বিধায় দেয়া যাই না। এত ভয়ঙ্কর মৃত্যু আমরা চাই না।
হ্যাঁ, প্রকৃতি তুমি আমাদের শিক্ষা দিয়েছো, স্বজনদের আর্তনাদে আমাদের অনেক কাঁদিয়েছো। আর কাঁদতে চাই না। একজন মানুষকেও এমন মৃত্যুর মাধ্যমে হারাতে চাই না। তুমি আমাদের মুক্তি দাও, আমরা তোমাকে মাঝে মাঝে বিশ্রাম দিব।
হল ভর্তি দর্শকশ্রোতার উপস্হিতিতে অটোয়ায় সফল ভাবে মঞ্চস্থ হলো “তিন কন্যার উপাখ্যান”।এমন হল ভর্তি... বিস্তারিত
টিকটককে দমিয়ে রাখতে ব্যবসায়িক পরামর্শ প্রদানকারী এক প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেটা... বিস্তারিত
১৯০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার সারাবিশ্বে প্রথম হয়েছে বাং... বিস্তারিত
পূর্বপশ্চিম অনলাইন পত্রিকা করে আমার উপর আস্থা রেখে শুরুতে চট্টগ্রামের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কানাড... বিস্তারিত
বাংলাদেশে দীর্ঘকালীন লকডাউনে শিক্ষার্থীরা বেশী ক্ষতির সমুক্ষীন হয়েছে বলে শিক্ষাবিদরা বরাবরই বল... বিস্তারিত
০৮ বছর আগে আজকের এইদিনে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১ বছরের লিয়েন নিয়ে যোগ দিয়েছিলাম ক্যাডার সার্ভিসে-চা... বিস্তারিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আলাদা কার্য... বিস্তারিত
এক বছর আগে ঘোষিত দরের চেয়ে ১-২ টাকা বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কেনায় ছয়টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্... বিস্তারিত
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন... বিস্তারিত
চোখের ইশারায় খুলে যাবে অ্যাপ, আঙুলে ছুঁয়ে সরাতে হবে স্ক্রিন। মাথা নাড়ালেই হবে অনেক কাজ। প্রযু... বিস্তারিত