শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ০১:২৯ এএম
কবি সাহিত্যিকদের ভাষায় ‘রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু বইখানা অনন্ত-যৌবনা – যদি তেমন বই হয়।’
পুরো বিশ্ব যখন করোনা নামক অচেনা শত্রুর মোকাবেলায় ব্যস্ত ঠিক তখনি সকলের
অগোচরে চলে গেল বিশ্ব বই দিবস। যদিও এই সময়টায় অনেক দিবস হিসেব-নিকেশ আর
উদযাপন ছাড়াই চলে যাচ্ছে।
বই সুস্থ্য চিন্তার প্রতীক। বই অন্ধকারে আলোর প্রদ্বীপ। একাকী সময়ে বইয়ের মতো সঙ্গী পাওয়া যায়না প্রচলিত একটি কথা। করোনার এই সময়টাতে সকলে তার পছন্দের বইকেই সঙ্গী করার উপযুক্ত সময়।
যেভাবে এল বই দিবসঃ
১৯৯৫ সালে
ইউনেস্কো ২৩ এপ্রিল কে ‘বিশ্ব গ্রন্থ ও গ্রন্থস্বত্ব দিবস’ ঘোষণা করে। এই
দিনটিকে গ্রন্থ দিবস হিসেবে নির্বাচনের অন্তরালের মূল কারণ হচ্ছে এ দিনেই
জন্ম গ্রহণ করেছিলেন বিশ্ব সাহিত্যের দুই মহান ব্যক্তি সেক্সপীয়ার ও
সারভান্তেস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে সংগতি রেখে বাংলাদেশেও যথাযথ
মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে দিবসটি পালিত হয়। বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের
কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোই বই দিবসের মূল
উদ্দেশ্য। এ কারণে কপিরাইট দিবস হিসেবেও দিনটিকে পালন করা হয়।
বিশ্ব বই দিবসের মূল ধারণাটি আসে স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসের কাছ থেকে। ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল মারা যান স্পেনের আরেক বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেস। আন্দ্রেস ছিলেন তাঁর ভাবশিষ্য। প্রিয় লেখক ও তাঁর সৃষ্টিকে স্মরণীয় করে রাখতেই ১৯২৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে আন্দ্রেস নিজ দেশ স্পেনে পালন করা শুরু করেন বিশ্ব বই দিবস। অবশেষে ১৯৯৫ সালে ইউনেসকো দিনটিকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
দেশে দেশে বই দিবসঃ
কাতালোনিয়াঃ
স্পেনের কাতালোনিয়াতে, সেন্ট জর্জ দিবস (দিয়াদা দে সান্ত জর্দি, এই
ঐতিহাসিক অঞ্চলের সন্ত অনুগ্রাহক) ১৪৩৬ সাল থেকে পালন করা হচ্ছে এবং এতে
প্রিয়জন এবং সম্মানিত ব্যক্তিদের মধ্যে উপহার বিনিময়ের প্রথা জড়িত
রয়েছে। কাতালোনিয়াতে সেন্ট জর্জ দিবসটি প্রিয়জনকে বই এবং গোলাপ প্রদানের
মাধ্যমে উদযাপন করা হয় এবং এটি কাতালোনীয়দের তাদের অনুগ্রাহক সন্তদের
প্রতি সম্মান এবং সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের একটি সুযোগ।
সুইডেনঃ
সুইডেনের দিনটি বার্ডসবোকড্যাগেন-Världsbokdagen (বিশ্ব বই দিবস) নামে
পরিচিত। সাধারণভাবে এটি ২৩ এপ্রিল উদযাপন করা হয়, তবে এটি ইস্টারের সাথে
সংঘর্ষ এড়াতে ২০০০ এবং ২০১১ সালে তা ১৩ এপ্রিলে নেয়া হয়েছিল।
যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডঃ
যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডে, বিশ্ব বই দিবসটি হল মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত
একটি দাতব্য অনুষ্ঠান, যা বার্ষিকভাবে প্রথম বৃহস্পতিবারে অনুষ্ঠিত হয় এবং
এ উপলক্ষে বইয়ের বিশেষ সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশঃ
বাংলাদেশে প্রথমবার দিবসটি পালিত হয় ২০০০ সালে। বাংলাদেশে বই দিবস উপলক্ষে
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে র্যালি, পাঠাভ্যাসের গুরুত্ববিষয়ক আলোচনা,
দেয়ালপত্রিকা প্রকাশ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনষ্ঠিত হয়।
বই জ্ঞানের
ভান্ডার। বই মানুষের সব সময়ের বন্ধু, নিত্য সঙ্গী। ভালো বই পাঠাভ্যাসের
ফলে একজন মানুষের সৃষ্টিশীল চিন্তা-চেতনা প্রসরিত হতে পারে। বই রাখতে পারে
সুস্থ্য এবং সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা। মোট কথা, বইয়ের বিকল্প
হতে পারে শুধু-ই বই। বিশ্ব গ্রন্থ দিবসের প্রেরণা ও অঙ্গীকার হতে হবে,
বিশ্বের সকল মানুষ গ্রন্থপ্রিয় মানুষে পরিণত হোক। কেননা...
‘পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই’।
তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া, অনলাইন।
জান্নাতুল মাওয়া, চট্টগ্রাম।
সবুজের সমারোহে সজ্জিত টরন্টোর এডামস পার্কের মনোরম পরিবেশে গত ২৪ শে জুলাই রবিবার অনুষ্ঠিত হল চট্ট... বিস্তারিত
কেবল দশম শ্রেণির লেখাপড়ার ওপর এসএসসি ও এইচএসসিতে দু’টি বোর্ড পরীক্ষা রেখে শিক্ষাক্রমের রূপরেখার ... বিস্তারিত
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দেশের ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে... বিস্তারিত
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের যে ... বিস্তারিত
বৈশ্বিক ও দক্ষিণ এশিয়ার তুলনায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মেডিকেল জার্নাল প্রকাশনায় বাংলাদেশের অব... বিস্তারিত
সারাদেশে নয়টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (... বিস্তারিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আলাদা কার্য... বিস্তারিত
এক বছর আগে ঘোষিত দরের চেয়ে ১-২ টাকা বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কেনায় ছয়টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্... বিস্তারিত
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন... বিস্তারিত
চোখের ইশারায় খুলে যাবে অ্যাপ, আঙুলে ছুঁয়ে সরাতে হবে স্ক্রিন। মাথা নাড়ালেই হবে অনেক কাজ। প্রযু... বিস্তারিত