শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৪:২৮ এএম
বাংলাদেশে শ্রমিক হিসেবে সবচেয়ে মজলুম গোষ্ঠী হল সাংবাদিকরা। তাদের কেবল বেতন সামান্য তাই নয় সাংবাদিকের চাকুরির কোন নিশ্চয়তা নেই। নেই কোন অবসর ভাতা। তার উপর সাংবাদিকরা রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নিপীড়নের শিকার হয় সব পেশাজীবীদের চেয়ে অনেক বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত আর্টিকেল নাইনটিনের প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশে প্রতিসপ্তাহে গড়ে দেড়জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হচ্ছে। অসুস্থ সাংবাদিককে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে হাসপাতালের বেডেই। মানহানি মামলা তো রয়েছেই। মানহানি মামলার আসামি হয়েছিলেন কবি আল মাহমুদও। অথচ সব মামলায় সাংবাদিকেরা বেকসুর খালাস পেয়েছেন। একমাত্র হয়রানি করা ও নিপীড়ন
ছাড়া ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মূলত কোন ভিত্তি নাই। শুরুর দিকে সরকারপক্ষ দাবি করেছিলেন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে কোন সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না। অথচ সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরাই।
সেই নিপীড়নের ধারাবাহিকতায় জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে প্রস্তাবিত গণমাধ্যম আইন ২০২২। ওই আইন অনুসারে সাংবাদিকরা এখন থেকে হবেন সংবাদপত্র দাস। প্রস্তাবিত আইনটির খসড়ায় বিদ্যমান শ্রম আইন বাতিল করে সাংবাদিক ইউনিয়ন বিলুপ্ত করাসহ সাংবাদিকদের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আইনটিতে সংবাদমাধ্যমে কর্মরত ক্যামেরাপার্সনদের কলাকুশলী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনে ন্যূনতম বেতন বলে কোনো কিছু ঘোষিত নেই কিংবা ঘোষণা করার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই।
শ্রম আইনের সংজ্ঞায় গণমাধ্যম কর্মীরা হলেন সংবাদপত্র শ্রমিক (শ্রম আইন ২০০৬–এর ৭২ ধারা)। অনলাইন এবং ব্রডকাস্ট অর্থাৎ রেডিও–টেলিভিশন কর্মীরা বাদ পড়েছেন সংজ্ঞা থেকে। যেন তাদের অস্তিত্ব নেই। অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক পেশা যেমন শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি হলে তাদের আইন আলাদ। কেবল গণমাধ্যমের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ আর সাধারণ শ্রমের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
২০০৯ সাল থেকে শ্রম আইন কয়েকবার সংশোধিত হলেও শ্রম আইনে সাংবাদিকরা এখনও কেবলই শ্রমিক।
কী আছে গণমাধ্যমকর্মী বিলে
গত ২৮ মার্চ (সেমাবার) ‘গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল, ২০২২’ শিরোনামে সংসদে তোলা হয়। আইনটি পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য ৬০ দিন সময় দিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। অথচ ৬ বছর ধরে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার পরেই আইনটি সংসদে উঠেছিল। এবার গণমাধ্যমের পেশাজীবীদের ‘গণমাধ্যম কর্মী’ নামে একটা স্বতন্ত্র পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
বিলের ২(৪) ধারায় সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- “গণমাধ্যম কর্মী অর্থ গণমাধ্যমে পূর্ণকালীন কর্মরত সাংবাদিক, কর্মচারী এবং নিবন্ধিত সংবাদপত্রের মালিকানাধীন ছাপাখানাসহ নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমে বিভিন্নকর্মে নিয়োজিত কর্মী”।
বিলের খসড়ায় কর্মরত সাংবাদিকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা ছিল– “সম্পাদক, প্রধান সম্পাদক, বার্তা প্রধান, নির্বাহী সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক, বার্তা প্রযোজক, স্টাফ রাইটার, বার্তা সম্পাদক, সাব এডিটর, নিউজরুম এডিটর, সংবাদ প্রযোজক, ফিচার লেখক, রিপোর্টার, রিপোর্টার, সংবাদদাতা, ডেস্ক ইন চার্জ, কপি হোল্ডার, কপি টেস্টার, সম্পাদনা সহকারী, কার্টুনিস্ট, আলোকচিত্রী, ক্যামেরাম্যান ইত্যাদি“।
শ্রম আইনের সাথে মিল রিখে গণমাধ্যম কর্মী আইনেও দৈনিক ৮ ঘণ্টা হিসেবে সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজের নিয়ম রাখা হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মী আইনে ‘সকল গণমাধ্যম কর্মীকে কোনো গণমাধ্যমে সপ্তাহে অন্যূন ৪৮ (আটচল্লিশ) ঘণ্টা কাজ করিতে হইবে’ লেখা রয়েছে। এ থেকে সহজে অনুমান করা যায় আইন করেছেন গণমাধ্যমের মালিকরা।আইনের ভাষাও সাংবাদিকবান্ধব নয়।
১২-এর (২) উপধারায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত কর্মীকে ছাঁটাই করলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ মাসের বেতন এবং প্রত্যেক বছর চাকরির জন্য ১ মাস হারে মূল বেতন দিতে হবে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ বিদ্যমান শ্রম আইনে ৪ মাসের ক্ষতিপূরণের কথা উল্লেখ আছে। তবে ছাঁটাই করার বিষয়টি সরকারকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে বলে বলা হয়েছে।
গণমাধ্যম কর্মী আইনটি হয়তো আগামী বছর পাস হবে। এই আইনে ওয়েজবোর্ড গঠনের বিষয়টি ঐচ্ছিক। সরকার ওয়েজ বোর্ড গঠন করতে পারবে, সরকার না চাইলে না-ও করতে পারে। ওয়েজ বোর্ড না থাকলে বেতনকাঠামো কেমন হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি আইনে। ফলে আবারও হয়তো ওয়েজ বোর্ড গঠনের জন্য সাংবাদিকদেরকেই মাঠেই নামতে হবে।
আমি একজন পেশাদার সাংবাদিক, আমি সত্য রিপোর্ট করছি এবং আপনি এর জন্য আমাকে শাস্তি দিতে পারেন না। কথাগ... বিস্তারিত
আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের বড় অংশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য বরা... বিস্তারিত
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচন ২০২২-২৩ মেয়াদের ভোটগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিল... বিস্তারিত
ইউক্রেনে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর হামলা সম্পর্কে 'ভুয়া' তথ্য প্রচারের জন্য রুশ সাংবাদিক আলেকজান... বিস্তারিত
কিয়েভে রুশ বাহিনীর অভিযানের মধ্যে আরো দুই সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। নিহত দুই জনের একজন হলেন ফটোগ্রাফ... বিস্তারিত
সঞ্চালক খবর পড়ার সময়ই তাঁর পিছনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ান মেরিনা। এই ভিডিয়োতে রাশিয়ার জনগণের উ... বিস্তারিত
ইউক্রেনে ব্যর্থতার চক্রে আটকে আছে রাশিয়া। পশ্চিমা সামরিক সহায়তায় পুষ্ট ইউক্রেনের পাল্টা হামলার ... বিস্তারিত
৩২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নির্মাণ ব্যয় ও গ্যাসের মূল্য ব... বিস্তারিত
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা, মহাকাশ অভিযান সম্পর্কিত যন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠ... বিস্তারিত
তাপপ্রবাহ ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি জনিত অসুস্থতায় ৬৫ বছর ও তার চেয়েও অধিক বয়সীদের মৃত্যুহার বিগত বিভিন... বিস্তারিত