শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৩১ এএম
বিচারিক
ও প্রশাসনিক ফোরামে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে
কনডেমড সেলে রাখা কেন
আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না,
তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন
হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন দণ্ডিত ব্যক্তির
করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি
মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি
আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত
হাইকোর্ট বেঞ্চ
রুলসহ আদেশ দেন। একই
সঙ্গে কনডেমড সেলে থাকা আসামির
সংখ্যা এবং তাঁদের সুযোগ-সুবিধার তথ্যাদি জানিয়ে ছয় মাসের মধ্যে
আদালতে প্রতিবেদন দিতে কারা মহাপরিদর্শককে
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারিক
ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে
কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা
চ্যলেঞ্জ করে বিচারিক আদালতে
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হয়ে কনডেমড সেলে
থাকা তিন আসামি গত
বছরের সেপ্টেম্বরে ওই রিট করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ
শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
স্বরাষ্ট্রসচিব
(জননিরাপত্তা বিভাগ), আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কারা মহাপরিদর্শকসহ সাত
বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে
রুলের জবাব দিতে বলা
হয়েছে বলে জানান আইনজীবী
শিশির মনির। তিনি প্রথম আলোকে
বলেন, জেল কোডের ৯৮০
বিধি অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের পৃথকভাবে কনডেমড সেলে রাখার কথা
বলা আছে। জেল কোডের
৯৮০ বিধি চ্যালেঞ্জ করা
হয়েছে। ৯৮০ বিধি কেন
অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না,
রুলে তা–ও জানতে
চাওয়া হয়েছে।
রিটে
বলা হয়, বিচারিক আদালতে
মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা
কার্যকর করার আইনগত কোনো
বিধান নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির
৩৭৪ ধারা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড
কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের
অনুমোদন (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) নিতে হয়। ফৌজদারি
কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন।
হাইকোর্টে
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে এর
বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল
করার সুযোগ আছে দণ্ডিত ব্যক্তির।
সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে
আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সুযোগ আছে।
এ ছাড়া সংবিধানের ৪৯
অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা
করতে পারেন। ক্ষমার এ আবেদন রাষ্ট্রপতি
যদি নামঞ্জুর করেন, তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আইনগত বৈধতা পায়। অথচ বিচারিক
আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পরপরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে বন্দী রাখা
হচ্ছে। হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে
কনডেমড সেলে রাখা তাঁর
মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
স্টক এক্সচেঞ্জে সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনের মাধ্যমে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তোলার লক্ষ্... বিস্তারিত
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে নির্যাতন ও মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে তাঁর স্বামী ও শাশ... বিস্তারিত
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় টমটম উল্টে শহীদুল ইসলাম ওরফে রাফি (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে... বিস্তারিত
৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেও ঋণমুক্ত হতে পারেননি নাটোরের সিংড়ার কৃষক মরু ... বিস্তারিত
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে খেলতে খেলতে পুকুরের পানিতে ডুবে মিতু আক্তার (৫) নামের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে... বিস্তারিত
রোহিঙ্গা নারী ছেনুয়ারা বেগম (২৫) কক্সবাজারের দুই আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশি যুবক মো. রায়হা... বিস্তারিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আলাদা কার্য... বিস্তারিত
এক বছর আগে ঘোষিত দরের চেয়ে ১-২ টাকা বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কেনায় ছয়টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্... বিস্তারিত
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন... বিস্তারিত
চোখের ইশারায় খুলে যাবে অ্যাপ, আঙুলে ছুঁয়ে সরাতে হবে স্ক্রিন। মাথা নাড়ালেই হবে অনেক কাজ। প্রযু... বিস্তারিত